ই-কমার্স সাইট তৈরির আগে জেনে নিন ?

ই-কমার্স সাইট তৈরির আগে যা যা মনে রাখা উচিত।

১.আউট লুকিং : বিশ্বখ্যাত মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস একটি কথা বলেছিলেন, “if you cannot make it good at least make it look good” অর্থাৎ আপনি কোনো কিছু ভালো তৈরী না করতে পারলেও, কমপক্ষে এটাকে দেখতে ভালো করুন। আমাদের দেশে যেসব ই-কমার্স সাইট তৈরী হয়েছে অধিকাংশ সাইট এর গতানু গতিক কিছু ভিউ লক্ষ্য করা যায়।যেমন, একটা স্লাইড শো,একই ধরনের জুমিং,একটা সার্চ বাক্স তবু আবার ইফেক্টটিভ নয়,এ টু জেট ক্যাটাগরি,যদিও সব ক্যাটাগরিতে প্রোডাক্ট খুঁজে পাবেন না,নন কোয়ালিটি ইমেজ, বিরক্তিকর কাপ্চা, বললে আরো অনেক বলা যায়। ভেবে দেখুন সবাই তো সব বিক্রি করে,অনলাইন শপিং এর জন্য একটা সাইট এর নাম মনে রাখলেই হয়।আপানর সাইট লোকে মনে রাখবে কেন?সুতরাং প্রথম দর্শনেই লোকজন কে কিছু দেয়ার চেষ্টা করুন।ডিজাইন টা ইউনিক করুন,লেটেস্ট ও ট্রেনডী| মনে রাখবেন ডিজাইন তা রেসপনসিভ ও হয়, ওভারঅল অন্যরকম কিছু।

২.হোস্টিং সার্ভার : “আমার সাইট তো ভাই, আমেরিকাতে হোস্ট করা”।শুনতেই অন্যরকম ব্যাপার স্যাপার লাগে।আপনি জানেন কি সব চেয়ে সস্তা হোস্টিং হলো আমেরিকা বেইস হোস্ট।প্রায় শুনি সস্তার বারো অবস্থা।বারো অবস্থা না দেখলেও মাঝে মাঝে কয়েক অবস্থা দেখা যায়।সমস্যা নাই আমেরিকা তে হোস্ট করা যায়।কিন্তু ভেবে দেখেন আপনার কিন্তু ই-কমার্স সাইট, আপানর সাইট কখন কি পরিমান হিট করবে আপনি জানেন না, বিশেষ করে কিছু ওকেসন এ।তখন যদি আপনার সাইট ক্রাশ করে তাহলে ভাবেন কেমন লাগবে। এজন্য লেটেস্ট হোস্টিং সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।বর্তমানে যে কনসেপ্ট তা কাজ করছে সেটা হলো ক্লাউড হোস্টিং কনসেপ্ট।ক্লাউড হচ্ছে আপানর সাইট একটা সার্ভার এ না থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন সার্ভার এ থাকে।অর্থাৎ কোনো কারণে একটা সার্ভার ক্রাশ করলে আর এক সার্ভার থেকে দেখাবে।এবং সেটা হবে খুব নিকটবর্তী সার্ভার।এতে সাইট দ্রুত লোড হবে।কেননা আমারিকা থেকে একটা সাইট লোড হওয়া মানে সাত সাগর তের নদী পার হয়ে সাথে আটলান্টিক মহাসাগর পার হয়ে আসা, আর সিঙ্গাপুর বা হংকং থেকে লোড হওয়া সহজেই বুজা যায় কোনটা ফাস্ট?

আরো কিছু বিষয় আসে, যেমন আপনার সাইট লেজি লোডিং এনাবল কি না।
ধরেন আমি একটা সাইট এর হোম পেজ এ আছি।হোম পেজ টা দ্রুত দেখেলেই যথেষ্ট।অন্য পেজ এ যতক্ষণ যাই নি , সেই পেজ লোড দরকার কি?আমাদের গতানু গতিক হোস্টিং এ সাইট এর সব পেজ একেবারে লোড হয় তাই লোড হতে দেরী হয়।লেজি লোড থাকলে ভিসিটর যে পেজ এ সেই পেজ লোড হবে,অন্য পেজে গেলে অন্য পেজ লোড হবে, এতে সাইট দ্রুত রেসপন্স করে এবং ব্যান্ড উইথ খরচ কম হবে।

আর একটি বিষয় হলো ইলাস্টিক লোড ব্যালান্স।এটি হলো আপানর সাইট যখন যেমন হবে, যেমন হিট বেশি পড়লে অটোমেটিক সে রাবারের মত বেড়ে যাবে, হিট কমে গেলে আবার আগের জায়গায় থাকবে।তার মানে ৯৯.৯৯% আপটাইম।
এ ছাড়াও আছে অনেক ফ্যাক্টর।

৩.সাইট এপ্লিকেশন: সাইট এপ্লিকেশন বলতে বুজাস্ছি,আপনর সাইট কি কোনো ওয়েব ইঞ্জিন নাকি কোনো সি.এম.এস. ব্যবহার করে বানানো। সি.এম.এস এ বেসিক কিছু ফাংশন থাকে, যেমন প্রোডাক্ট পোস্ট ,ইমেজ পোস্ট,ডেসক্রিপশন কিছু ক্যালকুলেশন।এর বাহিরে কিছু করতে চাইলে আপনাকে কোড করতে হবে।কিন্তু যদি ওয়েব ইঞ্জিন ব্যবহার করেন,সব কিছু থাকে জাস্ট আপনি ব্যবহার করবেন কিনা?যেমন,ভ্যাট,ট্যাক্স ক্যালকুলেট,শিপিং এর উপর ডিসকাউন্ট বা সাব টোটাল, বা নেট টোটাল, বা একটার সাথে আর একটা ফ্রি, ভার্চুয়াল চ্যাটিং এজেন্ট, ভার্চুয়াল ড্রেসিং রুম, সব কিছু।

৪.কোম্পানি নির্বাচন : যেকোনো ব্যবসার সাথে অনেক প্রকারের টীম যুক্ত থাকে।কেউ ডিজাইন করে, কেউ প্ল্যানিং করে , কেউ মার্কেটিং করে, কেউ সাপোর্ট দেয়,আরো অনেক।ভেবে দেখেন একজন এর কাছে ডিজাইন করে নিলেন,ভালো।কিছু দিন পর দেখলেন কনভার্সন কম, মানে সেল কম।গেলেন মার্কেটিংবিদ এর কাছে,সে বলল এই এই করতে হবে,সাথে ডিজাইন একটু চেঞ্জ করতে হবে, আবার গেলেন ডিজাইনের এর কাছে, সে বলল একবার টাকা নিয়ে কয়বার সাপোর্ট দেব,কিছু টাকা লাগবে, এরপর পেমেন্টগেটওয়ে ঝামেলা করছে,ওদের কাছে সাপোর্ট নিতে গেলেন, তাহলে আপানর যদি সাপোর্ট নিতেই বেলা যায়, গ্রাহক কে সাপোর্ট দিবেন কখন রাতে??এমন কোম্পানি চুজ করুন যারা আপনার বিসনেস এর সব কিছুর দায়িত্ব নিবে।
যাহোক অনেক ভাব নিলাম।ভুল কিছু থাকলে মার্জনীয় এবং সাজেস্ট ইজ এলওয়েজ ওয়েলকাম।
ব্রি:দ্র: BLACK iz IT Limited  একটি কমপ্লিট প্লাটফর্ম যেখানে আপানর ই-কমার্স ব্যবসায়ের সব সার্ভিস পাবেন।
বিস্তারিত জানতে ভিসিট করুন: www.black-iz.com

Related posts

Leave a Comment